🟢বাংলাদেশের আবহাওয়ায় অ্যাভোকাডো চাষের উপযোগিতা
অ্যাভোকাডো গাছ সাধারণত উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভালো জন্মে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল, চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও কিছু উঁচু অঞ্চল অ্যাভোকাডো চাষের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চাষ করতে পারলে দেশের অনেক অঞ্চলে এই ফল চাষ করা সম্ভব।
🟢মাটি ও জমি প্রস্তুতি
মাটি: অ্যাভোকাডো গাছ দোআঁশ থেকে বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। মাটির pH মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত।
🟢জমি প্রস্তুতি:
আগাছা পরিষ্কার করে ভালোভাবে চাষ করে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী জৈব সার ও কম্পোস্ট মিশিয়ে নিতে হবে।
🟢চারা রোপণ
সাধারণত কলম করা চারা বা গ্রাফটেড চারা ব্যবহার করা উত্তম। এতে ফল আসতে কম সময় লাগে।
চারা রোপণের জন্য ২.৫-৩ মিটার দূরত্বে গর্ত করে রাখতে হবে।
প্রতিটি গর্তে পচা গোবর, ছাই ও কিছু রাসায়নিক সার (টিএসপি, এমওপি) মিশিয়ে চারা রোপণ করতে হবে।
🟢পরিচর্যা
সেচ: বর্ষাকাল বাদে নিয়মিত পানি দিতে হবে, তবে পানি যেন গাছের গোড়ায় জমে না থাকে।
সার: বছরে ২ বার জৈব সার ও সামান্য ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি প্রয়োগ করতে হবে।
গাছ ছাঁটাই: অতিরিক্ত শাখা কেটে গাছকে সঠিক গঠন দিতে হবে।
🟢পোকামাকড় দমন:
পাতা খেকো পোকার আক্রমণ হলে কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করাই উত্তম।
🟢ফল আসা ও সংগ্রহ
কলম করা গাছ সাধারণত ২-৩ বছরে ফল দেয়, আর বীজ থেকে গাছ হলে সময় লাগে ৫-৬ বছর।
ফল সাধারণত গ্রীষ্মকাল থেকে বর্ষাকাল পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়।
ফল সংগ্রহের পর কাঁচা অবস্থায় রাখা হলে ২-৩ দিন পর নরম হয়ে খাওয়ার উপযোগী হয়।
🟢অর্থনৈতিক সম্ভাবনা
বাংলাদেশে অ্যাভোকাডোর বাজারমূল্য অনেক বেশি। একেকটি ফল ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তাই বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে কৃষকেরা ভালো মুনাফা পেতে পারেন। বিদেশেও এর রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।
🟢উপসংহার
বাংলাদেশে অ্যাভোকাডো চাষ এখনো নতুন হলেও এর পুষ্টিগুণ এবং বাজার চাহিদার কারণে এটি একটি সম্ভাবনাময় ফল। সঠিক নিয়মে চাষ ও পরিচর্যা করলে অল্প জমিতে হলেও এটি লাভজনক হতে পারে।
আপনার মতামত বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না! আরও কৃষি বিষয়ক তথ্য পেতে আমাদের ব্লগ বা ফেসবুক পেজে চোখ রাখুন।
![]() |



0 মন্তব্যসমূহ